ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ওই ছেলেটি একটি কক্ষে আটকে আছে খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে বনানীপাড়ায় তার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গেল ২৫ রমজান থেকে ওই বাসার ৫ম তলার একটি কক্ষে নিজেকে বন্দি করে রাখে আসিফ হায়দার। নিজেই ওই কক্ষে রাখা খাবার খেয়ে দিনযাপন করতো। তবে সব সময় সবার সঙ্গে ফোনে কথা বলতো। সোমবার উদ্ধার অভিযানে গিয়ে কথা বললে সে বার বার বলে আমাকে বাঁচাতে এলে আমি আমার মতো ব্যবস্থা নেবো। এভাবে দীর্ঘ চেষ্টার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে ঘরে রাখা একটি গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ঘরের দরজা ভেঙে আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় যুবক সেলিম হোসেন জানান, আসিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশাগ্রস্থ ছিল। সে বিভিন্ন সময় বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে নেশা করতো। নেশার জন্যই সে তার বাবার কাছে ৭ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ঘর থেকে বের হবে না, নিজেকে মেরে ফেলবে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আসিফের বাবা শেখ মো. হাফিজ উদ্দিন জানান, ছেলে নেশাগ্রস্থ ছিল না। তবে, সে মানসিক প্রতিবন্ধী। বিভিন্ন সময় এরকম করতো। ফলে ৫ম শ্রেণির পর তাকে আর লেখাপড়া করানো হয়নি।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ছেলের মাদকাসক্তের দোষ ঢাকতেই বাবা এতো দিন পর আজ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে ফোন দিয়েছে ছেলেকে উদ্ধারের জন্য।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডা. নাইম আহমেদ জানান, তরুণটি মেন্টাল ডিজিজে আক্রান্ত। তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।