কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

গণধর্ষণ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১০ আগষ্ট) সকাল ৯টায় নিজ বাড়িতে ধর্ষণের স্বীকার হয় ওই শিশু। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আলম (৫০) পালাতক রয়েছে।

অভিযুক্ত আলম ভেড়ামারার ১৬দাগ চাষী ক্লাব এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে,দরিদ্র পরিবারের ওই শিশু ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর পাম্প হাউস এলাকার দাদী সঙ্গে থাকে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তার দাদী কাজের সন্ধানে বাইরে গেলে ১৬ দাগ চাষী ক্লাব এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আলম ওই বাড়িতে গিয়ে ওই শিশুকে ভয় ভীতি দেখিয়ে নগ্ন ছবি তোলে ও ধর্ষণ করে। এসময় ওই ছাত্রীর ছোট ভাই (৫) দেখে ফেলে। পরে সে চিৎকারে শুরু করলে স্থানীয়রা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত আলম পালিয়ে যায়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাহিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল জানান, আলমের একটি ওয়ার্কসপ রয়েছে এখানে। সে ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। যা একটি জঘন্যতম অপরাধ।

বাহিরচর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জানান, আলম শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শুপ্রভা রানী জানান, শিশু শিক্ষার্থীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়েছে।

ভেড়ামারা থানা এএসআই আবু তাহের জানান, তিনি সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বাক্ষীদের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন।