২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে খুলনা-২ আসন ছাড়া বাকি পাঁচটি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে খুলনা-১ আসন ছাড়া বাকি পাঁচটি আসন পায় বিএনপি-জামায়াত জোট। তবে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায়, ছয়টি আসনই পায় আওয়ামী লীগ। এসব হিসাব-নিকাশ সামনে রেখে খুলনায় এবার মাঠে নেমেছে বিএনপি। প্রতিদিনই দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছয়টি আসনেই এবার বিএনপি প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন।
খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রার্থীরা প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছেন। রাজপথে আন্দোলনে নেমে নেতাকর্মীরা গ্রেফতার ও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তারপরও নির্বাচনের মাঠে বিএনপি শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’
অপরদিকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে খুলনায় প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নির্বাচনি ক্যাম্পেইন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নৌকার পক্ষে গত ৬ অক্টোবর বর্ধিত সভা করেছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তারই অংশ হিসেবে গত ১৩ অক্টোবর শহীদ হাদিস পার্কে ১৪ দলের মহাসমাবেশ করা হয়। এছাড়া থানা ও ওয়ার্ডে নৌকার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান জানান, খুলনার সবগুলো আসনেই সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আসনগুলোতে যারা বেশি জনপ্রিয় তারাই মনোনয়ন পাবেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তারা বিদেশি আর অপশক্তির আশ্রয় নিয়ে আগামী নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। কিন্তু দেশের মানুষ আর কোনও অপশক্তির প্রশ্রয় দেবে না।’