নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের সবুজবাগ এলাকার অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ও গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হাসান বাবু, একই এলাকার মৃত আলাউদ্দিন শিকদারের ছেলে ও গোপালগঞ্জ সদর যুবলীগের সহ-সভাপতি সাদিকুল আলম, থানাপাড়ার গাজী মিজানুর রহমানের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক ওয়ালিদ মাহমুদ উৎসব, গেটপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেন মোল্লার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সাজু আহমেদ এবং চাদমারী এলাকার ওয়াহিদ গাজীর ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য অনিমুল ইসলাম গাজী। এদের মধ্যে সাদিকুল গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাইভেটকারটি (ঢাকা মেট্রো গ ৩৫-০০২৫) খুলনা মহানগরের জিরো পয়েন্ট থেকে যাচ্ছিল। পথে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো ট ১৮-২৫৮৪) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। নিহত পাঁচজনই প্রাইভেটকারের যাত্রী। ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালকসহ অন্যরা পালিয়ে গেছে।
এর আগে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে খুলনা থেকে নিহতদের লাশ গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে এসে পৌঁছায়। এ খবর পেয়ে ভোর রাত থেকেই হাসপাতালে ভিড় জমান নিহতদের স্বজন, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বন্ধু, সহপাঠিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সকাল সাড়ে ৭টার পর একে একে নিহতদের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয় স্ব স্ব পরিবারে। বাদ যোহর নিহত ওই পাঁচ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতার জানাজা গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। গোপালগঞ্জের ছাত্র ও যুব নেতাদের অকাল মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক সংগঠন, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শোকবার্তায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
আরও পড়ুন