প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজগঞ্জের ভাসমান সেতুটি দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমায়। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে সেটি উল্টে মাঝখানের লোহার এঙ্গেল ছিড়ে কিছু অংশ বাঁওড়ের মাঝখানে চলে যায়। আর দুই পাশের অংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়। তবে সেতুর ওপর থাকা দর্শনার্থীরা দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যেতে সক্ষম হন।
ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও ভাসমান সেতু নির্মাণ কমিটির সদস্য লিটন হোসেন জানান, ‘ঝড় থামার পরপরই সেটি সংস্কারে ১৫-২০ জন সদস্য কাজে লেগে গেছেন। সেতুর বিভিন্ন অংশে লোহার ঝালাই খুলে গেছে। সকালে সেতু মেরামতে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।’
প্রসঙ্গত, ঝাঁপাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির মুখে গত বছর গ্রামের ৭০-৭৫ জন নিজেদের অর্থায়নে ঝাঁপা বাঁওড়ের উপর ভাসমান সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সেই লক্ষ্যে তারা ঝাঁপা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনও গড়ে তোলেন। এরপর নিজেরা ফান্ড তৈরি করে প্রায় ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। সেই অর্থে আটশ’ মণ লোহার এঙ্গেল, ২৫০টি পাত ও ৮৩৯টি প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে বাঁওড়ের উপর এক হাজার ফুট লম্বা ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করা হয়।