ধর্ষণের শিকার মেয়ে, বাবার কাছে ঘুষ চাইলো তদন্ত কর্মকর্তা!

ঝিনাইদহধর্ষণের মামলার খরচার কথা বলে ভিকটিমের বাবার কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহের সুবর্ণাসারা ক্যাম্পের আইসি (ক্যাম্প ইনচার্জ) এসআই সৈয়দ আলীর বিরুদ্ধে। মেয়েটির বাবার দাবি, কালীগঞ্জের একতারপুর গ্রামে মেয়েটির বাড়িতে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে গিয়ে ঘুষ দাবি করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই সৈয়দ আলী।

ভিকটিমের বাবা জানান, ১০ সেপ্টেম্বর পরিবারের লোকজন যশোরের চৌগাছায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে বাড়িতে মেয়ে একাই ছিল। এ সুযোগে একই গ্রামের এবাদ আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয় সুবর্ণসারা ক্যাম্পের এসআই সৈয়দ আলীকে। তিনি বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসে মামলার খবর-খরচার কথা বলে ৪/৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, টাকা দিতে পারবো না—একথা বলার পর তদন্ত কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, টাকা দিতে পারবেন না, তা মামলা করেছেন কেন? মামলার কাগজপত্র কেনা ও আলামত ঢাকাতে পাঠাতে আমার খরচ লাগবে। এসব কি আমি দেবো? পরে শুক্রবার তাকে ফোন করে ক্যাম্পে দেখা করতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর আমাকে বলা হয় টাকা না দিলে মামলার ফাইল এভাবে চাপা পড়ে থাকবে। কোনও কাজ হবে না। পরে আলামত পাঠানো এবং মামলার কাগজপত্র কেনার কথা বলে আমার কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়েছেন তিনি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সৈয়দ আলী বলেন, ‘মামলার এজাহারে সাক্ষীর নাম নেই। সাক্ষীদের নাম নেওয়া ও পিও ভিজিট করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। কোনও ঘুষ চাইনি।’ শুক্রবার ক্যাম্পে বসে ১ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।