এছাড়া খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের বাড়ির সামনে সকালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে দুপুরে জাতিসংঘ শিশু পার্কের সামনে তারা অবস্থান নেন। ধর্মঘট পালনকারীরা নগরীর গল্লামারি ও দৌলতপুর মোড়ে সব ধরনের রিকশা চলাচলে বাধা দিচ্ছেন।
প্রথম দিনের ধর্মঘটে শহর ছিল অনেকটা রিকশাশূন্য। তবে কিছু চালককে ব্যাটারি খুলে রিকশা নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। স্বল্প দূরত্বের পথ মানুষকে পায়ে হেটেই পাড়ি দিতে দেখা যায়। রিকশা না থাকায় নগরীতে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের দাপট ছিল একচেটিয়া।
রিকশাচালক সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘একবেলা গাড়ি চালাতে না পারলে পরিবারের মুখে খাবার উঠবে না। তাই, নিজের রিকশার ব্যাটারি খুলে রাস্তায় নেমেছি। কোনও চালক আন্দোলন করছে কিনা সন্দেহ আছে। মূলত যাদের বেশি রিকশা ও চার্জিং পয়েন্ট আছে; তারাই আয় ঠিক রাখতে চালকদের ব্যবহার করে আন্দোলন করছে।’
উল্লেখ্য, গত রবিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দৌলতপুর মোল্যার মোড়ে রিকশা-ভ্যান চালক ইউনিয়ন অফিসে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ ধর্মঘট শুরু হয়।