বেনাপোল কাস্টমসের লকার থেকে সোনা চুরি, ইন্সপেক্টরসহ ৫ জন বরখাস্ত

কাস্টমসের লকার ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার চুরি

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের লকার থেকে সোনা চুরি যাওয়ার ঘটনায় কাস্টমসের এক ইন্সপেক্টর, সিপাই এবং তিন এনজিও সদস্যসহ মোট পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত ব্যক্তিরা হলেন−ইন্সপেক্টর সাহিবুল সরদার, সিপাই পারভেজ ও এনজিও সদস্য আজিবর, মহব্বত ও সুরত আলী।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় প্রাথমিক তদন্ত শেষে ডিএসবির (এএসপি) তৌহিদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত কোনও এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনকভাবে ৫ জনকে বেনাপোল পোর্ট থানায় নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাস্টমসের যে স্থানে লকার ছিল, সেখানে কোনও নিরাপত্তাকর্মী থাকে না। এর ফলে চোরচক্র সহজেই এ ঘটনা ঘটাতে পেরেছে। কাস্টমসের ওই লকারে ২৯ কেজি সোনা ছিল। সেখান থেকে ১৯ কেজি ৩৮০ গ্রাম সোনা চুরি হয়েছে। বিগত ৫ থেকে ৬ বছরে জব্দ মূল্যবান জিনিসপত্র এ লকারে সংরক্ষণ করা ছিল।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, কাস্টমসে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা কাজ করলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ততোটা উন্নত নয়। তবে লকার রুমের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন হলেও সেখানে কোনও পাহারাদার নেই। লকার রুমের তালা ভাঙা হলেও লকার ভাঙা হয়নি। মনে হয় ডুপলিকেট চাবি ব্যবহার করে খোলা হয়েছে।