শিকদার বাড়ির পূজায় নেই আড়ম্বর, নেই দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা

শিকদার বাড়ির পূজা মণ্ডপ



দুর্গা পূজার আয়োজনের কথা এলেই মনে পড়বে বাগেরহাটের হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ির নাম। মহা ধুমধামে দুর্গা পূজা আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ব্যবসায়ী লিটন শিকদার। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ থেকে এই মণ্ডপে পূজা দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের দাবি এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্গা মণ্ডপ। তবে এবার সেই শিকদার বাড়ির মণ্ডপে নেই দর্শনার্থীদের ভিড়। করোনার কারণে পূজা উদযাপিত হচ্ছে সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে সীমিত পরিসরে।

প্রতি বছরের মতো এবার দুর্গা পূজায় শিকদার বাড়িতে জমকালো চোখ ধাঁধানো আয়োজন নেই। এবার মূল মণ্ডপে শুধু দুর্গার প্রতিমা তৈরি ছাড়া আর কোনও আয়োজন করা হয়নি। নেই বিস্তীর্ণ আলোকসজ্জা, মন্দির কর্তৃপক্ষ বসতে দেয়নি কোনও দোকানপাট। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সীমিত পরিসরে দর্শনার্থীরা মন্দিরে প্রবেশ করলেও কঠোরভাবে নজরদারিতে রয়েছে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি।

শিকদার বাড়ির পূজা মণ্ডপ
২০১০ সাল থেকে সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে শিকদার বাড়িতে বৃহত্তম দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গত বছরও পূজা মণ্ডপে ছিল ৮০১টি প্রতিমা। রামায়ণ ও মহাভারতের চার যুগের দেবদেবীর নানা কাহিনি অবলম্বনে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল। শোভা পেয়েছিল পুকুরের মাঝে শ্রী কৃষ্ণের অষ্টম সখীকে নিয়ে নৌকা বিলাস। তাছাড়া ৮০১টি প্রতিমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল সৃষ্টি রহস্য।
দুর্গা পূজার আয়োজক লিটন শিকদার বলেন, ‘করোনার কারণে সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে আমরা সীমিত পরিসরে পূজা উদযাপন করছি। তবে আগামী বছর পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগের মতো আয়োজন করা হবে।’