১৯ ঘণ্টা পর মুক্ত যশোরের আ.লীগ নেতা বিপু

যশোরে ইমরান নামে এক পুলিশ সদস্যকে মারপিট ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার ১৯ ঘণ্টা পর মুক্ত হলেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু।
তবে, তার সঙ্গে হেফাজতে থাকা অপর তিনজনকে এখনও মুক্তি পাননি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই তিনজনের মধ্যে দুইজনকে মারধর ও অপহরণচেষ্টার ঘটনায় মামলা দিয়ে আটক দেখানো হবে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে শহরের পুরাতন কসবায় নতুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ইমরান নামে এক পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে তার বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে নারীর সঙ্গে গল্প করতে দেখে তার ওপর চড়াও হন। নিজের পরিচয় ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান এর প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তারা এরপরও ওই পুলিশ সদস্যের গায়ে হাত তোলে এবং তাকে পাশের আবু নাসের ক্লাবে তুলে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনার সময় সেখানে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুও ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শহীদ ইমরানকে উদ্ধার করেন। এসময় তারা আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ হাসান বিপুসহ ৪ জনকে হেফাজতে নেন।
এরপর প্রায় ১৯ ঘণ্টা ধরে পুলিশ হেফাজতে থাকলেও তাদের আটক করা হয়নি বলে জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে যশোর কোতোয়ালি থানা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বিপুকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেন, পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় বিপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয়। আজ দুপুরের পর তিনি বাড়ি চলে গেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার সাথে যাদের ডেকে আনা হয়েছিল তাদের মধ্য দুই/একজন অপরাধে জড়িত। ফলে মামলা দিয়ে তাদের আটক দেখানো হবে।
এদিকে, মুক্তি পেয়ে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান। তিনি সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, হামলার শিকার পুলিশ সদস্যকে রক্ষা করেছি। কারণ, ওইসময় অনেকে তাকে মারতে উদ্যত হয়েছিল। আমি তাকে রিকশায় না নিয়ে গেলে আরও খারাপ ঘটনা ঘটতে পারতো।

আগের সংবাদ:

পুলিশ সদস্যকে মারধর, যশোর শহর আ. লীগের সম্পাদকসহ ৪ জন হেফাজতে