মানিকগঞ্জে একসঙ্গে ভ্যাকসিন নিলেন ডিসি, এসপি ও সিভিল সার্জন

মানিকগঞ্জে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার (৭ ফেব্রয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার পর মানিকগঞ্জের ৯টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল পৌনে ১১ টার দিকে নার্সিং কলেজ কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক এস. এম ফেরদৌস, পুলিশি সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন আনোয়ারারুল আমিন আখন্দ একযোগে এই তিন জন টিকা গ্রহণ করেন। পরে অন্যদের টিকা দেওয়া হয়।

করোনার টিকা নেওয়ার পর জেলা প্রশাসক এস. এম ফেরদৌস বলেন, যেসব বিজ্ঞানী এ ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। করোনা প্রতিরোধে সকলকে এ ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, ভ্যাকসিন গ্রহণের পর আমার কোনও খারাপ লাগেনি। সুস্থ থাকতে হলে এ ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে ৮টি, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৮টি, পুলিশ হাসপাতালে ১ এবং উপজেলাগুলোতে ৩ টি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ২টি টিম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে রির্জাভ থাকবে। প্রতিটি টিমে ২ জন করে টিকাদান কর্মী ও ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, জেলায় ৪৮ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৮২৭ জন অ্যাপসের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৯৮ জন, সিংগাইর উপজেলায় ৭২ জন, শিবালয় উপজেলায় ৭৩ জন, সাটুরিয়া উপজেলায় ৫৮৮ জন , হরিরামপুর উপজেলায় ১২৮ জন, ঘিওর উপজেলায় ৯০ জন , দৌলতপুর উপজেলায় ৭৮ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। নিবন্ধনকারীরা স্ব স্ব উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভ্যাকসিনের টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জেলায় ১ হাজার ৮ ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭৭১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ৩০ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।