মিথ্যা মামলা করায় ৫ জন কারাগারে

মাগুরায় মিথ্যা মামলা করায় ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জেলা সদরের গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক হাসিবুল হোসেন বাবু।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা বিলুপাড়ার সাইফুল জর্দ্দারের মেয়ে লাবনি খাতুনের সঙ্গে মাগুরা সদরের বাহারবাগ গ্রামের গোলাম কুদ্দুসের ছেলে আফজাল হোসেনের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। গত ২৯ আগস্ট লাবনি তার স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি নিয়ে লাবনির পিতা সাইফুল জর্দ্দার তার সহযোগী গোলাম আজমের প্ররোচণায় মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সেখানে লাবনির স্বামী আফজাল হোসেন, গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব, ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ছায়েমউদ্দিন চুন্নুসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো আব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তদন্তে হত্যার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। বিচারক ওই মামলা থেকে গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিবসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেন।

এ আদেশের পর মিথ্যা হত্যা মামলায় হয়রানি ও সম্মানহানির অভিযোগে মামলার শিকার ছায়েম উদ্দিন চুন্নু বাদী হয়ে একই আদালতে ওই মিথ্যা মামলার বাদী বাহারবাগ গ্রামের সাইফুল জর্দ্দার (৪৬), তাইব বিশ্বাস (৫০), ওসমান বিশ্বাস (৪৫), আকরাম বিশ্বাস (২৬), করিম বিশ্বাস (৫০) ও গোলাম আজমকে (৩৮) আসামি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পরে আসামিদের প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসমিরা সোমবার মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।