শবে বরাতের রাতে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

খুলনা মহানগরীতে শবে বরাতের রাতে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে (২৪) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি, যে গ্যারেজে ঘটনা ঘটেছে, সেটি অপরাধের আখড়া। থানা থেকে ৭০০-৮০০ মিটার দূরত্বে থাকলেও সেখানে মাদকের বেচাকেনা চলে নিরাপদে। ফলে রাতে নির্জন পরিবেশ থাকায় অপরাধীরা হয়ে ওঠে বেপরোয়া।

শনিবার (১৯ মার্চ) মিনারুল হক নামে একজন বলেন, ‘শবে বরাতের রাতে সবাই ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিল। আর এমন একটা দিনে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ধর্ষণ মামলায় আটক গ্যারেজ মালিক কামরুলের ব্যবসা হলো ইজিবাইক চার্জ দেওয়া। কিন্তু তার চলাফেরা ছিল রাজকীয়। অবৈধ আয় ছাড়া কেউ এভাবে চলতে পারে না।’ স্থানীয়রা এ ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শবে বরাতের রাতে এমন ঘটনা লজ্জাজনক। ঘটনাটি জানার পর পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে দ্রুত এজাহারভুক্ত আসামি গ্যারেজ মালিক আব্দুল মালেকের ছেলে কামরুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অপর অভিযুক্ত শিরোমণি পূর্বপাড়া এলাকার আফজাল মল্লিকের ছেলে সুমন (২৭), জামাল উদ্দিনের ছেলে সজিব হোসেন জীবন (২২) ও আফজাল মল্লিকের ছেলে আলামিন মল্লিককে (২২) গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বাদী হয়ে চার জনের নামে মামলা করেছেন।’

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইয়াসিন বলেন, ‘এই গ্যারেজটি ঘিরে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের অপকর্ম হতো।’ স্থানীয় মোমেনা আক্তার বলেন, ‘এখানে ইজিবাইক চার্জ দেওয়ার নামে ইয়াবা এবং গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য কেনাবেচা হতো।’

উল্লেখ্য, খুলনা শহরে ভাড়া থাকা স্বামী-স্ত্রী শুক্রবার রাতে বাজার করার জন্য তেতুলতলা রেল ক্রসিংয়ের পাশে কামরুলের গ্যারেজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় ৪-৫ জন জোরপূর্বক তাদের গ্যারেজে নিয়ে যায়। এরপর স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।