মিয়ানমারের উসকানিতে সংযমী আচরণ করছি: ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা মিয়ানমারের উসকানির ব্যাপারে সংযমী আচরণ করছি। পরিষ্কার কথা, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না শান্তি চায়।’ 

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আমাদের বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনী প্রস্তুত আছে। এ ব্যাপারে যাদের সেখানে দায়িত্ব দেওয়া দরকার সেখানে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন পূরণ হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি আদালত ফয়সালা করবে। ওটা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) ফিরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীন নিরপেক্ষভাবে হবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশনের অধীন থাকবে। এটা বারবার বলার পরও তারা (বিএনপি) পানি ঘোলা করছে। নির্বাচনে না এসে তাদের উপায় নেই।’

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নড়াইলের লোহাগড়ার কালনা পয়েন্টে মধুমতী নদীতে নির্মাণাধীন সেতুর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘‘মধুমতী সেতু’’। আগামী মাসের (অক্টোবর) যেকোনও দিন এই সেতু উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করবেন।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই সেতুটি ছিল মিসিং লিংক। যথাসময়ে সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। নড়াইলবাসীর জন্য এই সেতুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কানেক্ট করবে। এর সুফল পাবে নড়াইল, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও বেনাপোল অঞ্চলের মানুষ।’

এর আগে ঢাকা থেকে সড়কপথে সেতু এলাকায় আসেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, সেতুর প্রকল্প পরিচালক শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপালগঞ্জ অঞ্চলের মো. সুরুজ মিয়া ও খুলনা অঞ্চলের মো. আসলাম আলী, সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।