জন্মদিনে মদপানে দুই বন্ধুর মৃত্যু, অপরজন হাসপাতালে

যশোরে বন্ধুর জন্মদিনে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মদপানে দুই কিশোর প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে এক বন্ধু এখনও যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই তিন বন্ধুর বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। যশোরের কেশবপুর উপজেলার কালিচরণপুরে এ ঘটনা ঘটে।  

কথা হলে স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, গত ২৯ অক্টোবর রাতে বন্ধুর জন্মদিন পালনে মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার দুই কিশোর কালিচরণপুরে আসে। তারা কালিচরণপুর গ্রামের একটি স্কুল মাঠে বসে মদপান করে। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হলে একজনকে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া সোমবার সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ঘুম থেকে না ওঠায় আরেক কিশোরকে ডাকতে গিয়ে স্বজনরা তাকে মৃত অবস্থায় পান। 

অপরদিকে অসুস্থ অবস্থায় সোমবার রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরেক কিশোরকে। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রীনা সরকার জানান, বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে। তবে শঙ্কামুক্ত নয়। 

জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য উদয় মণ্ডল বলেন, শুনেছি জন্মদিন পালনের সময় তিন বন্ধু মিলে মদ পান করেন। এ ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আরেকজন যশোরে চিকিৎসা নিচ্ছে।

একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, একজনের মরদেহ মঙ্গলবার বিকালে গ্রামে আনা হয়। ৪টার দিকে তার মরদেহ দাহ করা হয়।

অপরদিকে কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের সংরক্ষিত (২) ইউপি সদস্য সালমা খাতুন বলেন, শুনেছি বন্ধুরা মিলে কি যেন খাইছিল, এরমধ্যে দুই জন মারা গেছেন।

সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের ফোনে কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

কেশবপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দীন বলেন, জন্মদিন পালনে তিন বন্ধু শনিবার রাতে মদ পান করে। এরমধ্যে কেশবপুরের একজন ও মণিরামুপর উপজেলার একজনের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে একজনের মরদেহ গ্রামে আনার পর মঙ্গলবার তা সৎকার করা হয়।