খুলনায় এখনও করোনা রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং তাদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রবিবার (১৩ নভেম্বর) জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির নভেম্বর মাসের সভায় এ তথ্য জানানো হয়। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, করোনা টিকার প্রথম ডোজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৫৫ লাখ ১০ হাজার ৮৫৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪২ জনকে প্রথম ডোজ, ২০ লাখ ১০ হাজার ২৪৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ও ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৭১ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের জন্য হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পুলক কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, অক্টোবরে জেলায় ২২টি মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। মাদক সংক্রান্ত অপরাধের কারণে ১৭২ জনকে আসামি করে ৩১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় আলামত হিসেবে ১৭ কেজি গাঁজা, ৩১২৭ পিস ইয়াবা, ৫৪ বোতল ফেনসিডিল ও ১০৪ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়।
সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানকালে জেলায় ৫৬টি মোবাইলকোর্টসহ ১৮৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়ে। অভিযানে ১৮ লাখ মিটার অবৈধ জাল আটক ও ধ্বংস করা হয়। এছাড়া পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রফতানিযোগ্য চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২৯০ কেজি জেলি পুশকৃত চিংড়ি ধ্বংস করা হয় এবং এই অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের তিন লাখ ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পুলক কুমার মন্ডল বলেন, গতমাসে খুলনায় জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা, কিশোর আপরাধ দমনে প্রশাসনকে আরও সজাগ হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় আরও জানানো হয়, খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত অক্টোবর মাসে ১৬০টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৩৮টি কম। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে অক্টোবর মাসে ১৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ১৫টি কম।
সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।