মাদ্রাসায় এনসিটিবির বই পড়াতে চান না শিক্ষকরা 

মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে যশোরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকদের অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিন যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। 

সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন আলীর নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করার উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এনসিটিবির ৯টি বই পরীক্ষামূলকভাবে পড়ানো হয়। ২০২৩ সাল থেকে ওই বইগুলো সমস্ত স্কুল ও মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানোর নির্দেশনা দেয় এনসিটিবি। ওইসব পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত অধিকাংশ ছবি, শব্দ, বাক্য, তথ্য-উপাত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মর্মাহত এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত করে তুলেছে। বইগুলোতে মুসলিম মনীষী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের নীতি নৈতিকতা সৃষ্টিকারী কোনও বিষয় স্থান পায়নি। উপরন্তু বিভিন্ন বইয়ে এমন সব ছবি ও তথ্য তুলে ধরা হয়েছে যা মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিব্রতকর পরিস্থতিতে ফেলেছে। 

শিক্ষকরা বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ বর্ণিত মাদ্রাসা শিক্ষার স্বীকৃতি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নের কোনও বিকল্প নেই। তবে এজন্য এনসিটিবি, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের আলেমদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তসহ আরও ১২ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদ, মণিরামপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওহাব ও বাঘারপাড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা হায়দার আলী।

এছাড়া একই দাবিতে মাগুরায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কাছে ১৩ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেন। নীলফামারীতেও মাদ্রাসা শিক্ষকরা একই কর্মসূচি পালন করেন।