মোংলা বন্দরে জাহাজে বারবার চুরি হচ্ছে কেন?

সম্প্রতি মোংলা বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত দুটি জাহাজে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্টরা। তবে নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, মোংলা বন্দরে আগত-নির্গত পণ্যবাহী জাহাজে ওয়াচম্যান (নিরাপত্তা প্রহরী) সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। ১৯৮৭ সালের ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি এবং বন্দরের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী বন্দরে আগত-নির্গত জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বন্দরের বহির্নোঙরে (ফেয়ারওয়ে) অবস্থান নেওয়া জাহাজে শ্রমিক কর্মচারী বুকিং দেওয়া হলেও ওয়াচম্যান (নিরাপত্তা প্রহরী) দেওয়া হয় না। এর ফলে জাহাজের নিরাপত্তা বিঘ্নিতসহ নানারকম দুর্ঘটনা ঘটছে। 

সম্প্রতি এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে তিনটি বিদেশি জাহাজকে। গত ১১ জুলাই এমভি ব্লু মেরিন এবং ২২ নভেম্বর এমভি আস এলিনা জাহাজে চুরির ঘটনা ঘটে। এই দুটি জাহাজে নিরাপত্তা প্রহরী ছিল না। এ কারণেই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পরে অবশ্য ওইসব জাহাজ থেকে চুরি হওয়া মালামাল মোংলা এলাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কোস্টগার্ড উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। 

মোংলা বন্দর স্টিভেডরিং ওয়াচম্যান ওয়েলফেয়ার সংঘের সাধারণ সম্পাদক বাবুল ফকির বলেন, ‘জাহাজে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ওয়াচম্যান বুকিং দেওয়া হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। ফেয়ারওয়েতে আসা বিদেশি জাহাজে অন্যান্য শ্রমিক-কর্মচারী বুকিং করা হলেও তাদের বুকিং হবে।’

সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টের প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে ওয়াচম্যান বুকিং দিয়ে তাদের ন্যায্য কাজ করাতে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল বলেন, ‘জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগ থাকলে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে না। অঘটন ঘটলে বন্দরের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। তাই শিপিং এজেন্টদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, ‘বন্দরে আগত জাহাজে চুরির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। তবে জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টদের সচেতন হতে হবে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করা হবে।’