আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২ 

যশোরের শার্শায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১২ কর্মী। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় বহিলাপোতা গ্রামের মামুন, রুবেল হোসেন ও জমির হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের বহিলাপোতা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শত্রুতার জেরে ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে বহিলাপোতা গ্রামের মাদক সম্রাট জব্বার বাহিনী ও সাবেক চেয়ারম্যান কামাল বাহিনীর সঙ্গে একই এলাকার সাবেক মেম্বর মুজিবুর ও তার ছেলেদের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর দুপুরে জব্বার ও কামাল বাহিনীর নেতৃত্বে একদল দেশীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বহিলাপোতা গ্রামে বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। দুই পরিবারের আগে থেকেই বিভেদের কারণে আগামীকাল রবিবার স্থানীয় লোকজন ও এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বসার কথা ছিল। কিন্তু আজ দুপুরে হঠাৎ শুনলাম দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে এবং ১০/১২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। দুই গ্রুপের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে।

শার্শা থানার ওসি মামুন খান বলেন, মারামারির বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।