খুলনায় চলছে চিকিৎসকদের দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি, রোগীদের দুর্ভোগ

খুলনায় সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দ্বিতীয় দিনেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এ কর্মবিরতি বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়। চিকিৎকরা বৃহস্পতিবার সকালেও হাসপাতালে যাননি।

টানা দুই দিন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসক না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীরা। মোংলার দিগরাজ থেকে আসা মনিরা বেগম বলেন, ‘বোনকে নিয়ে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু এসে শুনি ডাক্তার আজও ডাক্তাররা রোগী দেখছেন না।’

খুলনা বিএমএ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনার শেখপাড়ায় অবস্থিত হক নার্সিং হোমে অপারেশন চলাকালীন হামলা করেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশে কর্মরত এএসআই নাঈম ও তার সঙ্গীরা। ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তারা। অপারেশন থিয়েটার ভাংচুর করা হয়। তার মেয়ের এক মাস আগে করা অপারেশনের জটিলতার কথা বলে তারা এই হামলা চালান। অপারেশন মাঝপথে বন্ধ করে দেন তারা।

ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ‘হামলাকারী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিএমএ খুলনার জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’

এই ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে বুধবার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ। আর যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসক নিশাত আব্দুল্লাহ ও হক নার্সিং হোমের ডা. নুরুল হক ফকিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই এএসআই-এর স্ত্রী। 

বুধবার সংবাদ সম্মেলনও করেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, ‘ডা. নিশাতের কথামতো তাকে আলাদা সময় না দেওয়া, অনৈতিক প্রস্তাবে সায় না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্তানের হাতে ভুল চিকিৎসা করেন। ফলে তার আঙুল পড়ে যায়। ওই চিকিৎসক আলাদা সময় চেয়েছিলেন, সন্তান নিয়ে চেম্বারে গেলে যৌন হয়রানি করতেন- যা তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন।’