ওষুধ ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

খুমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওষুধ ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থী সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে কলেজের এক শিক্ষার্থী সহপাঠীসহ হাসপাতালে সামনে ওষুধ কিনতে যান। ওষুধ কিনে ওই ব্যবসায়ীকে কমিশন (১০ শতাংশ) বাদ দিতে বলেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী সেখানে জড়ো হন এবং তাদের মারধর করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে বিষয়টি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জানান।

পরে তারা এক হয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ থেকে ১৬ জন আহত হন। ছাত্রদের হামলায় তিন দোকানি আহত হন। বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, ওষুধ কেনা নিয়ে এক দোকানির সঙ্গে খুলনা মেডিক্যালের শিক্ষার্থীর বাগবিতণ্ডা ঘটে। একপর্যায়ে দোকানি তাকে মারধর করেন। বিষয়টি অন্য ছাত্ররা জেনে তারা ওষুধের দোকানে যায়। তখন ওষুধের দোকানিরা তাদেরকেও মারধর করেন। এতে ১৫ ছাত্র আহত হয়েছে। ঘটনার বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেফতারে ছাত্ররা আল্টিমেটাম দিয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (দক্ষিণ) শেখ ইমরান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব বলেন, নিরাপত্তার দাবিতে তাদের ঘোষিত কর্মবিরতি চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে।