বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও, কনের বাবাকে জরিমানা

খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই শিক্ষার্থীর বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আল-আমিন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বরপক্ষ।

এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর ওই এলাকায় আরও একটি বাল্যবিয়ের আয়োজন হলে প্রশাসন তা বন্ধ করে দেয়।

পাইকগাছা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার জানান, কাশিমনগর গ্রামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর সঙ্গে পাশের রামনগর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে খায়রুল ইসলামের বিয়ের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার বেলা ২টায় ওই বাড়িতে পৌঁছে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি ইউএনওকে জানান। পরে ইউএনওর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেয়ের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ বিয়েটি বন্ধ করা হয়।

ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, মেয়েটিকে স্কুলে ভর্তি করে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া গ্রামে তপন ঢালীর ছেলে সুমিত ঢালীর (২০) বিয়ের আয়োজন করা হয়। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাংগা গ্রামের এক কিশোরীর (১৫) সঙ্গে এ বিয়ের আয়োজন ছিল। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছেলের বাবাকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়াসহ বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।