ভারত থেকে আসছে নারিকেল

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে নারিকেল আমদানি করা হয়েছে। নতুন ধরনের পণ্য আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দরের আয় বাড়ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ভারত থেকে আমদানি করা নারিকেল বোঝাই দুটি ট্রাক দেশে প্রবেশ করে। এর মধ্য দিয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো নারিকেল আমদানি শুরু হয়েছে। এর আমদানিকারক হিলি স্থলবন্দরের নাশাত ট্রেডার্স। রফতানিকারক ভারতের বালুরঘাটের এস আনন্দ আ্যন্ড কোং। ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে এই নারিকেল আমদানি করা হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।

নারিকেলের আমদানিকারক মেসার্স নাশাত ট্রেডাসের স্বত্বাধিকারী নূর ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে নারিকেলের বেশ চাহিদা রয়েছে। দেশীয় নারিকেলের সরবরাহ কম, সেই সঙ্গে দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে নারিকেল আমদানির চিন্তা করি। সেই থেকে ২০০ টন নারিকেল আমদানির জন্য এলসি খুলেছিলাম। আজ ৫০ টন আমদানি করেছি। পরে পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো আমদানি করা হবে। ভারত থেকে প্রতি মেট্রিকটন নারিকেল ২৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কাস্টমসে প্রতি মেট্রিকটনে ৩০০ মার্কিন ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করছে। কেজিপ্রতি ১২ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। শুল্ক পরিশোধ ও বন্দর থেকে ছাড়ের পর বোঝা যাবে পড়তা রয়েছে কিনা। লাভজনক হলে সেই মোতাবেক পরে আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে আজ ভারত থেকে নারিকেল আমদানি করা হয়েছে। আজ দুটি ট্রাকে ৫০ টন নারিকেল আমদানি করা হয়েছে। কাস্টমসের পরীক্ষণ শুল্কায়ন ও শুল্ক আদায় সাপেক্ষে তারা পণ্যটির আউটপাস ইস্যু করলে সেই পণ্য বন্দর থেকে ছাড় করা হবে। বন্দর দিয়ে নতুন ধরনের পণ্য আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়ছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন যে আয় সেটিও বাড়ছে।