বেইলি রোডের আগুনে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টির দাফন সম্পন্ন

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১১মার্চ) রাত ৯টা ৫০মিনিটের দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

স্থানীয় বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বৃষ্টির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

আব্দুল মজিদ বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৃষ্টির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এরপর জানাজা শেষে রাত ৯টা ৫০মিনিটের দিকে কুষ্টিয়ার খোকসার বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।’

নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) বাবার নাম শাবরুল আলম সবুজ ওরফে সবুজ শেখ। বৃষ্টি রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ নামের একটি নিউজ পোর্টালে কাজ করতেন। গেলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচন কমিশন বিটের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক ছিলেন তিনি। দ্য রিপোর্ট ডট লাইভে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন এই নারী সাংবাদিক।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। এতে শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্যদের মধ্যে মারা যান বৃষ্টি খাতুন নামে এক নারী সাংবাদিক। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

মৃত্যুর পর রমনা মন্দিরের পুরোহিত বৃষ্টিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী বলে জানান। পাশাপাশি সবুজ শেখ ও বিউটি বেগম দম্পতি তাকে নিজের সন্তান বলে দাবি করেন। এরপর মরদেহ শনাক্ত করতে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর রবিবার (১০ মার্চ) বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলে যায়।