সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংঘটিত মব জাস্টিস এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিপ্লবীদের ‘ব্রিং ব্যাক জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ ছাত্রসমাজ আন্দোলন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। এতে যোগ দেন যশোরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সচেতন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় যশোর সরকারি এম এম কলেজের শিক্ষার্থী নূর ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছাত্র আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, তারা এ দেশকে পুনরায় স্বাধীন করেছি। এই স্বাধীন দেশের সম্মান রক্ষার চেষ্টা করবো সবাই। সমন্বয়কের পরিচয়ে কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে তাকে ধরে বেঁধে ফেলবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, যশোরে যারা সমন্বয়ক নাম নিয়ে কাজ করছে, তাদের বেশির ভাগই ছাত্রলীগের কর্মী। আজকে যশোর জেলায় বৈষম্যবিরোধী একটা লীগ তৈরি হয়েছে। এরা বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি এবং অর্থ উপার্জনের একটি উৎস তৈরি করে নিয়েছে। কোনও সন্ত্রাসী বাংলাদেশের কোথাও স্থান পাবে না। সে যে দলেরই হোক না কেন তাকে আমরা শক্ত হাতে দমন করবো। আমরা আগেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম এবং সামনের দিনগুলোতেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকবো।’
অপর শিক্ষার্থী মৌসুমী খাতুন বলেন, ‘আমাদের এক ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মর্মান্তিকভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তিনি একজন মানসিক রোগী ছিলেন। তাকে খাবার দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দুঃখজনক ও কষ্টের বিষয়, তিনি খুন হয়েছেন এবং যারা তাকে খুন করেছে তারা সবাই ছাত্র। জড়িতদের মধ্যে জালাল নামে একজন ছাত্রলীগের নেতা বলে আমরা জানতে পেরেছি। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়লেও তার দোসররা কিন্তু রয়ে গেছে। আর এই ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্রসমাজকে কলঙ্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।’
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন নবীন ইসলাম, সাকিব হোসেন, সাদিক বিল্লাহ, কিরণ আহমেদসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।