আর ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হলেই রুপা হত্যা মামলার রায়

রুপা হত্যা মামলার আসামিরা

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় সপ্তম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৪ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আর ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেই যে কোনও সময় মামলার রায় ঘোষণা করা হবে, বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপি এ কে এম মো.নাছিমুল আখতার। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টায় টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

মামলায় চার জন ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ মোট পাঁচ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। প্রথমে সাক্ষী দেন পুলিশ কনস্টেবল মাহবুবুর রহমান। এর পর ক্রমান্বয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম,সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম,সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুপম কান্তি দাস সাক্ষ্য দেন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপি এ কে এম মো নাছিমুল আখতার জানান,বুধবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে থেকে  ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। এতে চার জন ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ৫ জন সাক্ষ্য দেন। আগামী রবিবার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে আদেশ দেন আদালতের বিচারক। এ পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। বাকী ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলেই যে কোনও সময় মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের সহায়তা ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ ও অ্যাডভোকেট এস আকবর খান। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো.দেলোয়ার হোসেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে তাকে হত্যার করে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রুপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।

২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে। তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার আসামিরা এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।

আরও পড়ুন: শাহজালালের চোখ তাহলে উপড়ালো কারা?