ত্রিশালে তিন দিনব্যাপী নজরুল জয়ন্তী শুরু

নরুজল মঞ্চ

ত্রিশালে শনিবার (২৫ মে) থেকে তিন দিনব্যাপী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্ম জয়ন্তীর অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। ২৫-২৭ মে পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ত্রিশালে বইছে উৎসবের আমেজ। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লাব ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নজরুল জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক আমীর আহাম্মদ চৌধুরী রতন বলেন, ‘নজরুলের আদর্শ এবং বার্তাকে মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে এ অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।’

জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, নজরুল জয়ন্তীকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টহল ফোর্স, চেকপোস্টসহ সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

ত্রিশালে নজরুল জয়ন্তী শুরু

নজরুল জয়ন্তীর জন্য সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বলেন, ত্রিশালবাসী উৎসবমুখর পরিবেশে তিন দিনব্যাপী নজরুল জয়ন্তী উপভোগ করবেন।

প্রসঙ্গত,  ত্রিশালের কাজির শিমলা গ্রামের দারোগা রফিজ উল্লাহ নিজ বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন কিশোর নজরুলকে। এখান থেকে নজরুল পড়তেন ত্রিশালের দরিরামপুর একাডেমি স্কুলে। বর্ষাকালে যাতায়াতে সুবিধার জন্য নজরুলকে জায়গির দেওয়া হয় ত্রিশালের নামাপাড়া গ্রামের বিচুতিয়া বেপারি বাড়িতে। কাজির শিমলা ও নামাপাড়া গ্রামে সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কবি নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র। নামাপাড়া গ্রামের বটতলায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।

কাজী রফিজ উল্লাহ দারোগার বংশধর কাজী শাহাদাত হোসেন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ত্রিশালে ধুমধাম করে নজরুল জয়ন্তী  উদযাপন করা হচ্ছে। এবারও জেলা প্রশাসন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে জয়ন্তীর আয়োজন করেছে। এছাড়া কাজির শিমলা ও বিচুতি বেপারি বাড়ির নজরুল স্মৃতিকেন্দ্রেও একদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ধরনের আয়োজনের কারণে কবির ভক্ত অনুরাগীরা আনন্দ উপভোগ করেন। নজরুল জন্ম জয়ন্তীকে ঘিরে ত্রিশালের মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা থাকে বলে তিনি জানান।

বিচুতিয়া বেপারির বংশধর আবুল কাশেম বেপারি জানান, কিশোর বয়সে নজরুল ত্রিশালে এসেছিলেন বলেই আজ তিনি এদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা পেয়েছেন। এজন্য ত্রিশালে নজরুলের জন্ম জয়ন্তীর আয়োজন জাতীয়ভাবে করা হলে ত্রিশালবাসী খুশি হতো। এই অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি উদ্বোধন করলে মানুষের মাঝে আরও উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করতো।