অফিস সূত্র জানায়, ২০১২ সাল থেকে একটি ভাড়া বাসায় জামালপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। শুক্র ও শনিবার ছাড়া নতুন পাসপোর্ট করতে প্রতিদিনই গড়ে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন গ্রাহক এই পাসপোর্ট অফিসে আসেন। এছাড়াও প্রতিদিন আরও ৫০ থেকে ৬০ জন লোক আসেন নতুন পাসপোর্ট নিতে। জায়গা সংকটের কারণে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ হিমশিম খেতে হয়।
অফিস সূত্র আরও জানায়, পাসপোর্ট অফিসের জন্য ভাড়া বাবদ সরকারকে প্রতি মাসে ২৮ হাজার টাকা করে গুণতে হচ্ছে। ছোট ছোট কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবনে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম চালু থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পাসপোর্ট করতে আসা আবেদনকারীরা।
নতুন পাসপোর্ট করতে আসা জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ছাইদুর রহমান ও রেজাউল করিম জানান, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ আন্তরিকতায় কোনও ভোগান্তি ছাড়াই পাসপোর্ট সংগ্রহ করছেন তারা। কিন্তু জায়গা সংকটের ও অতিরিক্ত ভিড় থাকায় বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
শহরের শেখের ভিটা মির্জা আজম চত্বর এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের নতুন ভবনে গিয়ে কথা হয় কেয়ারটেকার আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, গত দুই বছর আগে এই অফিসের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস হলো এই ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।
জামালপুর পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আহসান হাবীব বলেন, ‘পাসপোর্ট করতে আসা কোনও ব্যক্তিই যেন ভোগান্তির শিকার না হন সে দিকে বিশেষ নজর রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাসপোর্ট অফিসের জন্য শহরের শেখের ভিটা মির্জা আজম চত্বর এলাকায় একটি চারতলা বিশিষ্ট বিশাল ভবন নির্মিত হচ্ছে। ভবনের কাজ প্রায় শেষ। ওই ভবনে চলে গেলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।’