সরিষাবাড়ীতে তুচ্ছ ঘটনায় ভ্যানচালককে পিটিয়ে হত্যা






নিহতের লাশকে ঘিরে স্বজনের আহাজারি এবার জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কুডালিয়া পটল এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় আলমগীর হোসেন (৪৫) নামে এক ভ্যানচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই জেঠাতো ভাই-বোনের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে আলমগীরের নিজ বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। তার পিতা মৃত ইসমাইল হোসেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুডালিয়া পটল গ্রামের খোকন মিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম স্থানীয় কেরামজানি বাজার থেকে খড় ক্রয় করেন। মমতা বেগমের ক্রয়কৃত খড় একই গ্রামের প্রতিবেশী ভ্যানচালক রহিম মিয়াকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে বললে রহিম আপত্তিকর কথা বলে। বিষয়টি খোকনের স্ত্রী মমতা বেগম রহিমের চাচাতো ভাই ভ্যানচালক আলমগীরকে জানায়।

আলমগীর বিষয়টি তার জেঠা মৃত কালু শেখের সন্তান রহিম, শুক্কুর, রঞ্জু, কল্পনা’র কাছে উপস্থাপন করলে তাদের সঙ্গে কথা কাটকাটি হয়। একপর্যায়ে জেঠাতো ভাই রহিম, শুক্কুর, রঞ্জু ও বোন কল্পনা ভ্যানচালক আলমগীরের ওপর চড়াও হয়ে তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে থাকে। এতে আলমগীর গুরুতর আহত হন এবং একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে তিনি মারা যান।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সীমা রানী সরকার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।