ভাষার মাসে চলে গেলেন ভাষাসৈনিক আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ

ভাষার মাসে চলে গেলেন ভাষাসৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ময়মনসিংহের সাবেক গণপরিষদ সদস্য খোন্দকার আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ (৯০)। মঙ্গলবার ( ২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহরের নন্দীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থ সহায়তায় সর্বশেষ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্য্যল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা শেষে তিনি নিজ বাড়িতেই ছিলেন। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় মুক্তাগাছার নন্দীবাড়ি স্টেডিয়াম মাঠে তার জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ ছাত্রাবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কারণে জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ পাইলট হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করলে ছাত্রত্ব হারান তিনি। এসময় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে আত্মগোপনে চলে যান। ফলে লেখাপড়ার আর সুযোগ পাননি খোন্দকার আব্দুল মালেক। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও রফিক উদ্দিন ভূইয়ার কমিটিতে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
১৯৭০ এর নির্বাচনে মুক্তাগাছা আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তার সম্পাদনায় ভারতের গোহাটি থেকে মুক্তি নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হতো। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাকশালে যোগ দিলেও পরবর্তীতে তিনি ফের আওয়ামী লীগে ফিরে এসে নৌকা প্রতীকের প্রাথী হয়ে ১৯৯৭ সালে মুক্তাগাছা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।