মোটরসাইকেলের চাকায় আঁচল পেঁচিয়ে আহত শিক্ষিকার মৃত্যু

নেত্রকোনায় স্বামীর চলন্ত মোটরসাইকেলের চাকায় শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে গুরুতর আহত স্কুলশিক্ষিকা সেলিনা পারভিন শেলি মারা গেছেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোরে তিনি মারা যান। 

নেত্রকোনা শহরের দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন সেলিনা পারভিন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ওয়ায়েজ উদ্দীন ফরাজী।

তিনি বলেন, গত শনিবার (২৪ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ ভোরে মারা যান। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে অংশ নেন শেলি। এরপর তার স্বামী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোটরসাইকেলে শহরের কোড়পাড় এলাকার বাসায় যাচ্ছিলেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে তার শাড়ির আঁচল মোটরসাইকেলের চাকায় পেঁচিয়ে যায়। তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। 

শেলির দেবর জহিরুল কবির শাহীন বলেন, ঈদুল আজহায় সবাই গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার কান্দি গ্রামে গিয়েছিলেন। আমাদের বাড়ির কাছাকাছি ভাবির বাবার বাড়ি। সেখানেই ছিলেন তিনি।

দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবির সাজু জানান, শেলি দশম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে শনিবার সভা শেষে শহরের বাসায় স্বামী শফিকুলের মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে গুরুতর হয়ে হন। আজ মারা যান। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে।