‘জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট ও গুপ্তঘাতক’

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট ও গুপ্তঘাতক। বাংলাদেশ ও দেশের মাটিকে কোনোদিন বিশ্বাস করেননি জিয়া ও খালেদা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় খুনি জিয়ার স্মৃতি জাদুঘর থাকবে না। রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত জাদুঘর জিয়ার নামে থাকতে পারে না। তাই চট্টগ্রাম পুরাতন সার্কিট হাউসে জিয়ার নামে চলা জাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে। ওই ভবনকে পুনরায় সার্কিট হাউস করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বাংলার ইতিহাসের কালো অধ্যায়। দেশকে শান্তি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক বৈষম্য মুক্তির ধাপে নিয়ে যেতে হলে এই শত্রুকে ধ্বংস করতে হবে। বিএনপি এখন ইতিহাসের ডাস্টবিন ও ময়লার টিন। এই ডাস্টবিন নিয়ে আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে পারবো না। খালেদা জিয়ার চক্রান্ত এখনও অব্যাহত আছে। কোনও খুনিকে দেশের রাজনীতিতে হালাল হতে দেবো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস আছে। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুসহ অনেক উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সেটি প্রমাণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর বয়ড়া ইসরাইল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে পোগলদিঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হত্যার মূল মদদদাতা, পরিকল্পনাকারী এবং বাস্তবায়নকারী জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার বাংলার মাটিতে হবে।

পোগলদিঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একেএম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক বাবু নারায়ণ চন্দ্র পাল রানা।

এতে অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন সামস, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মানিক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের পানিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান হেলাল ও পৌর মেয়র মনির উদ্দিন প্রমুখ।