যতক্ষণ নিঃশ্বাস আছে জয় বাংলার গান গাইবো: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, পৃথিবীর নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত ও মুক্তিকামী মানুষের আজন্মের অনুপ্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। জাতির পিতার জয় বাংলা স্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়েই সাত কোটি নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাই যতক্ষণ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আছে জয় বাংলার গান গাইবো।

শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকালে জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলাধীন ‘কামালপুর হানাদারমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। এদেশে সবারই পূর্ণ ধর্মীয় অধিকার রয়েছে। কেউ কাউকে এতে বাধা দিতে পারবে না। তবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা এদেশে চলবে না। ধর্মকে পুঁজি করে যারা রাজনীতি করে, তাদের ধর্মপ্রীতি নিতান্তই লোক দেখানো। ধর্মীয় অনুশাসনকে তারা কখনও অন্তর দিয়ে গ্রহণ করে না এবং অনুশাসন মেনে চলে না। 

ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতির পিতার নেতৃত্বে নৌকা প্রতীক ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। বাকি ৩৬ শতাংশ ভোটার ছিল আওয়ামী লীগের বাইরে, অর্থাৎ রাজাকার-দালালদের। সেই রাজাকারের সন্তানরা এখনও এই বাংলায় বসবাস করছে এবং নিত্যনতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের এই ষড়যন্ত্র আমাদের রুখে দিতে হবে। ডা. মুরাদ হাসানের মতো লক্ষ কোটি সন্তান দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য রাজপথে জীবন দিতে পিছপা হবে না।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. জাফর উদ্দীন ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আব্দুস সামাদ প্রমুখ।