জামালপুরে মরিচের বাম্পার ফলন, তবু লোকসানের শঙ্কা

জামালপুর জেলায় এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার সদর, বকশিগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে মরিচের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। তবে বাম্পার ফলন হলেও দাম কম থাকায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষক।

জামালপুর কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে জামালপুর সদর উপজেলাসহ প্রায় সব উপজেলাতে মরিচের ব্যাপক চাষ হয়েছে। তবে কৃষকদের অভিযোগ, সার, বীজ, কীটনাশক এবং শ্রমিক খরচ মিটিয়ে যে দামে মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। বর্তমানে কাঁচা মরিচ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

moric3

মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মরিচ চাষি আব্দুল বাকের মণ্ডল, ফজলুল হক, গিয়াস উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর তারা প্রায় এক একর করে জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। ফলনও বেশ ভালো। প্রতি একর জমি চাষ করতে ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অন্যান্য বছর প্রতি একর জমির মরিচ কৃষকের কাছ থেকে ৯০-৯৫ হাজার টাকায় কিনে নেন পাইকাররা। তবে এ বছর এখনও পাইকার আসা শুরু করেনি।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এবার মরিচ চাষে উৎপাদন খরচও বেড়েছে। লাভের আশায় চাষিরা এখন ক্ষেত থেকে মরিচ উঠিয়ে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তবে বাজারে দাম অনেকটা কম বলেও জানান তারা। জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা বাজার, হাজিপুর বাজার, তুলশিপুর বাজার ও বাঁশচড়া বাজার কাঁচা মরিচের জন্য বিখ্যাত। এসব বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা মরিচ কিনতে আসেন।

moric

সিরাজগঞ্জ থেকে মরিচ কিনতে আসা পাইকার ছানোয়ার হোসেন ছানু জানান, বছরের অর্ধেক সময় এসব হাট থেকে মরিচ কেনেন তিনি।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নিতাই চন্দ্র বণিক বলেন, ‘এ বছর জেলায় আট হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে সাত হাজার ৯৮৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে মরিচ আবাদ হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং উন্নত জাতের কারণে চলতি মৌসুমে জেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।’