কিশোরীকে হত্যার পর পুঁতে রাখে সৎবাবা

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় মিনু আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, টাকা না দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখে সৎবাবা শফিকুল ইসলাম।

রবিবার (২৬ জুন) সকালে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, গত ২৪ জুন দিবাগত রাতে কুড়িগ্রাম থেকে মিনু আক্তারের সৎবাবা শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন শনিবার  বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর আসামি রিপন মিয়াকে একই দিন (শনিবার) বিকালে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, শফিকুলের বাড়ি কুড়িগ্রামে। সে ভালুকায় বসবাস করতো। বেশ কয়েক বছর আগে মাহমুদা আক্তার ও তার বিয়ে হয়। মাহমুদা গার্মেন্টসে চাকরি করতেন এবং রফিকুল ভাঙারির ব্যবসা করতেন। মাহমুদার এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা ছিল। ওই টাকা দিয়ে মেয়ে মিনুর নামে ডিপোজিট করার পরিকল্পনা করেন। বিষয়টি শফিকুল জানতে পেরে টাকা চান। তবে তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল তার বন্ধু রিপনকে নিয়ে মিনুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ জুন মাহমুদা আক্তার বাড়িতে না থাকায় রাতে ঘুমন্ত মিতুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর পাশের জঙ্গলে লাশ ফেলে দেয়। পরদিন রাতে লাশ একই এলাকার একটি কারখানা এলাকার ভেতর গর্ত করে পুঁতে রাখে। বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে গিয়ে পা বের হয়ে আসে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে লাশ দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এই ঘটনায় ওই দিন রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ভালুকা থানায় হত্যা মামলা করে। পরে ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শফিকুল ইসলাম ও রিপন মিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।