নারায়ণগঞ্জ থেকে শেরপুরে গিয়ে কলেজছাত্রীকে ‘হত্যা’

শেরপুরের নকলা উপজেলায় কথিত প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে সোহাগী আক্তার (২২) নামে এক কলেজছাত্রী নিহতের অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন তার বাবা ও ছোট ভাই। অভিযুক্ত আরিফুল ইসলামকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৪ জুলাই) ভোর ৫টায় উপজেলার কায়দা-বাজারদি মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। সোহাগী ওই মহল্লার হোটেল শ্রমিক শহীদুল ইসলামের (৫০) মেয়ে। তিনি স্থানীয় সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আটক আরিফুলের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিয়ারচর লালখাঁ গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ মাস আগে মোবাইল ফোনে আরিফুলের সঙ্গে সোহাগীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় নকলায় এসে দুজন সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তাকে দেখে সোহাগীর পছন্দ না হলে দূরত্ব তৈরি হয়। একপর্যায়ে আরিফুলের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার (৩ জুলাই) রাতে নকলায় এসে সোহাগীর বাড়ির পাশে ওঁৎ পেতে থাকেন আরিফুল। ভোরে বাবা শহীদুল ইসলাম বাড়ির প্রধান দরজা খুলে ঘর থেকে বের হতে চাইলে আরিফুল অতর্কিত হামলা চালান। তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ডাক-চিৎকারে সোহাগী ও তার ছোট ভাই সবুজ এগিয়ে এলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করেন।

ঘটনার পর স্থানীয়রা আরিফুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগীকে মৃত ঘোষণা করেন। শহীদুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান জানান, আটক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।