কুমিল্লার দেবিদ্বারে পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ভ্যানচালককে পিটিয়ে ও চোখ উপড়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাসেল পলাতক রয়েছে। উপজেলার ভানী ইউনিয়নের ত্রিবিদ্যা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৭ মে) ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত শফিউল্লাহ (৩৮) উপজেলার ভানী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দীনের ছেলে। অভিযুক্ত রাসেল একই উপজেলার ভানী ইউনিয়নের আন্দিরপার গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাসেল ও শফিউল্লাহর মধ্যে দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে তারা একে অপরের মধ্যে টাকা লেনদেন করতেন। এক পর্যায়ে রাসেল নিহত শফিউল্লাহর কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ধার নেন। পরে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেন শফিউল্লাহ। মঙ্গলবার বিকালে টাকা দেওয়ার কথা বলে শফিউল্লাহকে তার গ্যারেজে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন। এসময় দুই জনের মধ্যে কথা বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাসেল তার গ্যারেজে থাকা লোহা দিয়ে শফিউল্লাহকে পিটিয়ে হত্যার পর ড্রিল মেশিন দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে লাশ দোকানে ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, আমার ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে আছে। আমার স্বামীকে রাসেল নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাওনা টাকা না দিলে না দিত, কিন্তু তাকে এভাবে মারলো। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।