ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে কথা বলেছেন তা বিনির্মাণে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে মেধা ও মননশীলতা এবং সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে পারবে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদুল হক খান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ থেকে এমপিওভুক্তি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, কারিকুলাম যুগোপযোগী করা ও অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল ল্যাব। এগুলোর কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে ও ঝরে পড়ার হার কমেছে। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব। এই সরকারের আমলে দেশে একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করতে হবে। শুধু শিক্ষানীতি নয়, বর্তমান সরকার দক্ষ শিক্ষক গড়ে তোলার জন্য একাধিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন। এই দক্ষ শিক্ষকরা দক্ষ ছাত্র গড়ে তুলবে এবং এই ছাত্ররাই একদিন গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফলস্বরূপ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আ. সালাম, সহ সভাপতি জামাল আবু নাছের চৌধুরী চার্লেস, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আ. খালেক আকন্দ, অফিসার ইনচার্জ সুমন তালুকদার।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও অংশ নেন।