রাজশাহীতে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

Rajshahi Clinic-Diagonstik Strike Photo 24.01 (1)তিন দফা দাবিতে রাজশাহীর বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে এক সমাবেশ থেকে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি এ ধর্মঘটের আহ্বান করে।

এর আগে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরই প্রতিবাদে মালিক সমিতির নেতারা এই ধর্মঘটের আহ্বান করে।

তাদের দাবিগুলো হলো, বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারকৃত ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টক স্টোরের কর্মচারীদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া, ভবিষ্যতে ১৯৮২ সালে ক্লিনিক পরিচালনা আইন অনুযায়ী জরিমানা করতে হবে এবং আস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স ফি কমানো ও সাইনবোর্ড বাতিল করতে হবে।

রাজশাহী বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সহ সভাপতি ড. ফয়সাল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবাদের বিকেল ৩টা থেকে তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট চলছে। তবে তিনটি দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের ডাকা ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।’

রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সকালে যেসব রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছিল, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট থাকলে তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্লিনিকে যেসব রোগী ভর্তি আছে তাদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে ‘

এদিকে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়ে রোগীরা। বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত রোগীরা চিকিৎসা নিতে না পেরে ফিরে যেতে দেখা গেছে। অনেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়।

কুষ্টিয়া থেকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন নসিমন বেগম। তার সঙ্গে ছিল তার ছেলে ইদরিস আলী। তিনি বলেন, ‘মায়ের বাতের ব্যথা। পপুলার ডায়গানস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখানো হয়। কিন্তু ক্লিনিক বন্ধ থাকায় এখন বাধ্য হয়ে হোটেলে থাকতে হবে।’ রাজশাহীর আমানা হাসপাতালের সুপারভাইজার শামীম হোসেন বলেন, ‘ধর্মঘট শুরু হওয়ায় কেবল ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষাও বন্ধ রাখা হয়েছে।’

/এমডিপি/