আবদুল কাদের জানান, সোমবার পরীক্ষার আগে কেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য তিনি নারচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। সেখানে প্রশ্নের প্যাকেটের সিলগালা খোলা এবং ভিতরে দুটি প্রশ্ন কম দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কেন্দ্রসচিব এসএম রইছ উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল হালিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রসচিব প্রধান শিক্ষক এসএম রইছ উদ্দিন জানান, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউফ তার কাছে প্রশ্নের প্যাকেট দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি ফেরত দেওয়ার পর তা না দেখেই আলমারিতে রেখে দেন। সহকারি কমিশনার প্যাকেট দেখতে চাইলে তাকে দেওয়া হয়। তিনি হাতে নেওয়ার পরই প্যাকেটের সিলখোলা ও ভিতরে দুটি প্রশ্ন কম পাওয়া যায়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউফ জানান, তিনি সিল করা প্যাকেটই কেন্দ্র সচিবকে দিয়েছিলেন। কিভাবে সিল খুলে গেলো সে সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই।
বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার আগে তিনি এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।