প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার দায়ে ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

 

নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি রসায়ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে আটক ১০ শিক্ষার্থীকে একবছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লালপুর উপজেলা পরিষদে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়। নাটোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মোর্তজার নির্দেশে চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব এই বহিষ্কারাদেশ দেন।  লালপুর থানার ওসি  আবু ওবায়েদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে একই ঘটনায় সন্দেহভজন হিসেবে আটক কদিমচিলান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসান আলী (৫০), যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা (৩৫) ও সোহেল রানার স্ত্রী কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌশ রুনার (৩২) বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসে সংশ্লিষ্টতার কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে কিছু পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে রসায়নের প্রশ্ন ও সলিউশন দেখতে পান র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় মোবাইল ফোনগুলো জব্দসহ ১০ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ইউনিয়ন আওয়ালীগ সভাপতি হাসান আলী, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস রুনাকেও আটক করে র‌্যাব। আটককৃতদের উপজেলা পরিষদে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১০ পরীক্ষার্থীকে ১ বছরের বহিষ্কারাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মোর্তজা।

নাটোর র‌্যাব অফিসের কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, বহিষ্কৃত ১০ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। অন্য তিনজনকে থানা থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।

লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই তিনজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’