রাজশাহীতে কাঠের গুড়ি কেনার হিড়িক

কাঠের গুড়িরাজশাহীতে মাংস কাটার জন্য কাঠের গুড়ি কেনার হিড়িক পড়েছে। বুধবার কোরবানির ঈদকে ঘিরে বাজারে এই চিত্র দেখা গেছে।

রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকার দোকান্দর নাসির হোসেন বাবু জানান, তার দোকানে যথেষ্ট পরিমাণ কাঠের গুড়ি মজুদ রয়েছে। প্রতিদিন গুড়ি বিক্রি হচ্ছে। ছোট গুড়ি ১০০ থেকে ২০০। বড় গুড়ি প্রায় ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মাংস রাখার জন্য পাটি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকায়। চাকু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকা মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা নিজেরাই কোববানির পশু জবাই করি। তাই মাংস কাটার জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন হয় কাঠের গুড়ির। গুড়ির ওপর মাংস রেখে তা কাটতে সুবিধা হয়। মাংসকে পরিষ্কারভাবে কাটতে কাঠের গুড়ির বিকল্প নেই। এজন্য প্রত্যেক বছরই নতুন কাঠের গুড়ি কিনি।’

এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু জবাই ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সচিবদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগর ভবন এ্যানেক্স সভা কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোমিন।

ঈদুল আজহার দিন বিকাল ৪টা থেকে সিটি করপোরেশন কন্ট্রোল রুমের সাহায্যে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়াও কোরবানির বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে যাবতীয় অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ঈদুল আজহার দিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কঞ্জারভেন্সী বিভাগের মনিটরিং সেলের দায়িত্বে নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক মোবাইল নম্বর ০১৭১৩-০৯৮৯৫৬, অফিস সহকারী মোবাইল নম্বর ০১৭১৬-৪০৮০৭১ এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তথ্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানা যাবে।