রাবিতে প্রক্টরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপ্রব্যবহারের অভিযোগ এনে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে অনধিকার চর্চা ও ক্ষমতার অপ্রব্যবহারের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলী আসগর।। সোমবার সকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। পরে দুপুরে হলের টেলিভিশন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের বিষয়টি জানান। তবে অনাবাসিক ছাত্র জনিকে হলে তুলে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রাধ্যক্ষ বলেন, শুক্রবার আমি ও একজন আবাসিক শিক্ষক হলে যাই। পরে জানতে পারি হলের ১২০ নম্বর কক্ষে জনি মিয়া নামে এক অনাবাসিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। হলকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা ওই অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিই। এসময় জনি মিয়ার আচরণ ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এসময় সে হল থেকে বের না হওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিতে থাকে। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে মতিহার হল প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের ছাড়াই জনিকে হলে তুলে দেন। বিষয়টি সেই রাতে হলের অন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ও পরবর্তীতে প্রত্রিকায় প্রকাশিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর বক্তব্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হই। প্রক্টরের অনধিকার চর্চা ও ক্ষমতার অপ্রব্যবহারের ফলে এখন জনি মিয়া হলে অবস্থান করছে। আমার পক্ষে নৈতিকভাবে এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য আমি পদত্যাগ করছি।  

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন,‘উনার অভিযোগ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মিথ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হয়ে না জেনে, শুধু সন্দেহ জনকভাবে এ ধরনে কথা তিনি বলতে পারে না।’ প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উল্টো দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন,‘উনার দায়িত্ব ছিল হলে যখন গণ্ডগোল হচ্ছে তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা, কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলে আসে নাই। পরে আমি সহকারী প্রক্টরদের নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে যাই এবং উনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।’ যা দায়িত্বে অবহেলার পর্যায়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেন প্রক্টর।