যুবলীগ নেতার মায়ের মৃত্যু হওয়ায় চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ

বগুড়াবগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যুবলীগ নেতার মায়ের মৃত্যু হওয়ায় আবাসিক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবা ও ভাইসহ ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মারধরের শিকার আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. দেলোয়ার হোসেন নয়ন মঙ্গলবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। বুধবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

আসামিরা হলেন- শিবগঞ্জ পৌর এলাকার লালদহ গ্রামের সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী দুদু মিয়া, তার দুই ছেলে পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস ইসলাম ও গোলাম রাব্বী।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সানোয়ার হোসেন জানান, গত ১৭ জুন বিকালে ইলিয়াসের মা ডলি বেগম (৫২) বাড়িতে অসুস্থতা বোধ করলে তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন। তারা চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ তুলে জরুরি বিভাগের হামলা করে দরজা, জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। পরে দোতলায় আরএমও নয়নকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরএমও ডা. নয়ন জানান, সম্ভবত ডলি বেগম ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না।

তিনি আরও জানান, রোগীর স্বজনরা ভুল বুঝে হাসপাতাল ভাঙচুর ও তাকে মারধর করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি শিবগঞ্জ থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন জানান, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।’

এ প্রসঙ্গে শিবগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে কোনও চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। ফোন করে ডাক্তারকে ডেকে আনতে হয়। তার মা চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। তাই উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর ও চিকিৎসককে মারধর করেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকরা ঠিকভাবে রোগীদের সেবা দেন না। এ কারণে মাঝে মধ্যেই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে থাকে।