প্রেসক্রিপশন শেবাচিম ডাক্তারের, কিন্তু চিকিৎসক ভুয়া!

লাল চিহ্নিত ভুয়া চিকিৎসকবরিশাল নগরীর আগরপুরে দ্য মুন মেডিক্যাল সার্ভিসেস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে জিয়াউল ইসলাম নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন ও কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. রফিকুল ইসলামের প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করে চিকিৎসা করছিলেন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে ভুয়া চিকিৎসক জিয়াকে লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল জানান, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহায়তায় দ্য মুন মেডিক্যাল সার্ভিসেসে অভিযান চালানো হয়। এসময় জিয়াউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। সে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিলেও কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

শেবাচিমের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করে আসছিলেন তিনি। এছাড়া ওই মেডিক্যালে সেন্টারের বাইরে ডা. রফিকুলের নামের সাইনবোর্ডও পাওয়া গেছে। পরে তাকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আগামীতে এ ধরনের কাজ করবেন না—এই মর্মে মুচলেকা এবং জরিমানার টাকা দিয়ে দেওয়ায় জিয়াকে ছেড়ে দেন আদালত।

এ বিষয়ে ডা. রফিকুল বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর জানতে পেরেছি আমার নাম ব্যবহার করে ভুয়া চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। মানুষের জান নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে থাকা উচিত।’