আ. লীগের নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুনের অভিযোগ, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহী দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের আগের দিনে নৌকা প্রার্থীর দুইটি নির্বাচনি ক্যাম্পে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ও সিংগা পুরনো বাসস্ট্যান্ড সংলল্গ আওয়ামী লীগ সমর্থিত তোফাজ্জল হোসেনের নৌকা প্রার্থীর অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এমন ঘটনার পর থেকে দুর্গাপুর সদরসহ আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

থানার পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কয়েকজন নেতাকর্মী অভিযোগ করে সংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর নেতারা পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মী ও ভোটাররা যাতে না যেতে পারে সেই জন্য তারা এমন কৌশল করে মামলা করেছেন। মানুষ এ ঘটনা বিশ্বাস করে না।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চম ধাপে দুর্গাপুর পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার শেষ দিন শুক্রবার রাত আনুমান সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। একইরাতে সিংগা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নির্বাচনি অফিসও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় দুর্গাপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের ওয়ার্ড নির্বাচনি কমিটির আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাশমত আলী বলেন, নৌকার নির্বাচনি দুইটি ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পৃথক মামলা ও অভিযোগ হয়েছে।

এদিকে নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসীন মৃধা। তিনি জানান, নিবার দুপুরের মধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রের বুথগুলো তৈরি করা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে।