ঘটনার বর্ণনা দিলেন চুল কেটে দেওয়া ভুক্তভোগী ১৪ শিক্ষার্থী

১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার তদন্তে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছে ইউজিসির একটি প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এ প্রতিনিধি দলের কাছে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার বিবরণ দিলেন ভুক্তভোগী ১৪ শিক্ষার্থী।

একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে প্রথম সাক্ষ্য দেন আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১১টা থেকে দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী ১৪ শিক্ষার্থী সে দিনের ঘটনার বিবরণ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে হওয়া আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আবু জাফর হোসাইন।

এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউজিসির প্রতিনিধি দল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনও। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার পরপরই তদন্ত করতে আসা প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে।

ইউজিসির সদস্য ও প্রফেসর দীল আফরোজার নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক জামিলুর রহমান এবং সহকারী পরিচালক আবু ইউসুফ হীরা। এদের মধ্যে দুই জন এখানে এলেও তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর দীল আফরোজা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী।

সূত্র জানিয়েছে, ইউজিসির প্রতিনিধি দল একে একে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিযুক্ত শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার সদস্যের প্রতিনিধি দল, তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ছাড়াও রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলবে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী বলেন, ‘ইউজিসির প্রতিনিধি দল এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।’ আজকেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করা হবে কি-না, জবাবে তিনি বলেন, ‘আজকেই এই তদন্তের জন্য নির্ধারিত দিন। তবে কার্যক্রম আজকেই শেষ হবে কি-না বলা যাচ্ছে না।’

অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ট্রেজারার আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাদের পাওয়া যায়নি।