উত্তরের সড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ, ৪ পয়েন্টে ধীরগতি  

 

 

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে মহাসড়কের অন্তত চারটি পয়েন্টে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কের নলকা এলাকায় এ চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিন মহাসড়ক ঘুরে, চালক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদ ঘনিয়ে আসায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে অন্যান্য সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। রাতের বেলায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বাড়ায় এই চাপ আরও বাড়বে। এর প্রভাবে মহাসড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে যান চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। যানজটপ্রবণ মুলিবাড়ি, কড্ডা, নলকা, পাচলিয়া পয়েন্টে যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে। 

হানিফ পরিবহনের বাসচালক আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন নলকা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে উঠতে বেগ পেতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। অতিরিক্ত ঢালু অ্যাপ্রোচ সড়কে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে। 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি লুতফর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরের ১৬ ও দক্ষিণের ৬ জেলায় যানবাহন চলাচল করে। গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। প্রতিবছরেই ঈদ মৌসুমে এই মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হওয়ায় যানজটে নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। এই মহাসড়কে দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে এবং ঈদের সময় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার যানবাহন চলাচল করে।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে প্রায় ৪৫০ জন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৫০ জন করে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন।

ওসি আশ্বস্ত করেন, এবার সড়কে ধীরগতি থাকলেও যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা নেই। আর যেকোনও পরিস্থিতিতে লেন মেনে যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা।