ছিনতাইয়ের ২ মাস পর মোটরসাইকেল উদ্ধার

নাটোরের ত্রিমোহনীতে স্বামী-স্ত্রীকে জিম্মি করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের দুই মাসের বেশি সময় পর পুলিশের জালে আটকা পড়েছে পাঁচ ছিনতাইকারী। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি।

সোমবার (২ মে) দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতার ছিনতাইকারীরা হলেন- রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বাটকিমারি-পুঠিমারি এলাকার চান মোহাম্মদের ছেলে কালাম (৩৫), নাটোরের লালপুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মাজদারের ছেলে আফজাল হোসেন (৫৫),  পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরগড়গড়ি গ্রামের আজিজের ছেলে আজম (৩০), রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মংলী গ্রামের আমিরুলের ছেলে রাসেল (৪০) ও রাজশাহীর চারঘাটের নিমপাড়া গ্রামের আছের মণ্ডলের ছেলে লালচাঁন (৫৬)।

গ্রেফতার হওয়া ছিনতাইকারী

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিষ্ণুদিয়া গ্রামের মেজবাউল হক ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানা রাজশাহীর বাঘার উদ্দেশে মোটরসাইকেলে রওনা দেন। পথে পকেট খালির পাশে ত্রিমোহনীতে পৌঁছালে কয়েকজন ছিনতাইকারী গাছের ডাল দিয়ে মেজবাউলকে আঘাত করে। স্বামী-স্ত্রী রাস্তায় পড়ে গেলে মেজবাউলের হাত, পা, চোখ, মুখ বেঁধে পাশের আম বাগানের ভেতর গম ক্ষেতে মাটিতে ফেলে রাখে এবং কোনও কথা বললে খুন-জখম গুলি করে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরে তারা মোটরসাইকেল ছাড়াও শিরিনের গহনা, নগদ টাকা ছিনতাই করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

তিনি জানান, পরের দিন ২৫ ফেব্রুয়ারি বাগাতিপাড়া থানায় শিরিন অভিযোগ দিলে মাঠে নামে জেলা পুলিশের পাঁচটি টিম। এ সময় এস ড্রাইভের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছে  বলেও দাবি করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে এসপি লিটন কুমার সাহা দাবি করেন, দীর্ঘদিন থেকে একই কায়দায় বিভিন্ন মানুষের মোটরসাইকেল ছিনতাই করে কম দামে বিক্রি করে আসছিল ছিনতাইকারীরা।