এনআইডি সংশোধন করতে আসা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

জয়পুরহাটের কালাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন করতে যাওয়া এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে কালাই উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারের কম্পিউটার অপারেটর মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কালাই থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার আসামি কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের সায়ের আলীর ছেলে।

মামলার বিবরণ, পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে ওই নারী তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য কালাই উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারের কম্পিউটার অপারেটর মামুনুর রশীদের কাছে যান। তখন মামুন ওই নারীর মোবাইল নম্বর নেয়। এরপর থেকে এনআইডি কার্ড দেওয়ার জন্য নানা অজুহাতে ওই নারীকে অফিসে ডাকে। নানাভাবে হয়রানি করে। কিন্তু কাজের কাজ করেনি। এভাবে একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর গত সোমবার (১০ অক্টোবর) তাকে এনআইডি কার্ড দেহয়। সেটা নিয়ে মোবাইলের সিম কিনতে গেলে ওই নারী জানতে পারেন সেটি ভুয়া।

পরদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারী ওই সেন্টারে গিয়ে মামুনকে ভুয়া এনআইডি কার্ড দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করেন এবং প্রকৃত এনআইডি কার্ডের জন্য বলেন। মামুন তখন অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই নারী অসম্মতি জানান। এতে মামুন তাকে কার্যালয় থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। এরপর ভুক্তভোগী ফার্মেসি থেকে আটটি ঘুমের ওষুধ কেনেন এবং ওই সেন্টারে গিয়ে সেগুলো সেবন করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা দেওয়া হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভুক্তভোগীর দাবি, আমি এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে গেলে মামুনুর রশীদ প্রতারণা করে ভুয়া এনআইডি দেয়। সে বিয়ের প্রলোভনে তার কার্যালয়ে আমাকে ধর্ষণ করেছে। আমি আসল এনআইডি চাইলে, তা না দিয়ে উল্টো অপমান করে। এই অপমান সইতে না পেরে ওষুধের দোকান থেকে অনুরোধ করে ঘুমের ওষুধ নিয়ে সেবন করি। এতে আমি অনেক অসুস্থ হই। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে কালাই হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি সুবিচার চাই। 

কালাই থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন জানান, ২৭ বছর বয়সী এক নারী কালাই আইসিটি অফিসে কর্মরত কম্পিউটার অপারেটরের কাছে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।